গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ‘জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের ব্যাজ ধারণ করে ট্রাফিক সহকারীরা’ নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার হাসান উদ্দিন সরকার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত ট্রাফিক পুলিশ সহকারীরা জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের ব্যাচ ধারণ করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী চলাচলের সময় আগে থেকেই রাস্তা যানজট মুক্ত রাখতে গিয়ে এসব ‘ট্রাফিক সহকারী’ বিপরীত পাশে যানজট সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বেতনভুক্ত তিন শতাধিক কর্মী ট্রাফিক পুলিশের সহকারী হিসেবে কাজ করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করছে।
তারা ট্রাফিক সহকারীদের পোশাক পরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার কাজে সরাসরি অংশ নিচ্ছে। এসব ট্রাফিক সহকারী ‘জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন’ ব্যাচ ধারণ করে এবং কখনও নৌকা প্রতীকের লিফলেট বহন করে সড়ক বা মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। যা নির্বাচনে ‘রেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির মারাত্মক অন্তরায় এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণবিধিমালার ৩নং বিধির (নির্বাচনী প্রচারণায় সমানাধিকার) লঙ্ঘন। তিনি অবিলম্বে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের ট্রাফিক সহকারীদের প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মন্ডল জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।