ওমর ফারুক : মোংলায় বিধবা নারী রেনুয়ারার ২ কোটি টাকার জমি হাজী আলম ও গাউছ ফকিরের দখলে।
প্রতারণা করে ১ একর ২০শতক জমি নিজেদের দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জমির দালাল হাজী আলম ও গাউছ ফকিরের বিরুদ্ধে। ওই জমি বিক্রি করে দেওয়ার নামে এই দুই দালাল কৌশলে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়। মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ও কাপালিরমাঠ এলাকার জমি ফিরে পেতে আদালতের শরনাপন্ন হন ঐ বিধবা নারী রেনুয়ারা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ওই দালাল চক্রটি।
৯ই জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী রেনুয়ারা বেগমের মেয়ে নাসরুম আলম। সাংবাদিকদের এ সময় তিনি বলেন, তার মায়ের নামে তার বাবা পেয়ার আহম্মেদের দেয়া ১ একর ২০ শতক জমি দীর্ঘদিন দিগরাজ এলাকায় পড়ে থাকে। পরে টাকার প্রয়োজন হলে দিগরাজ এলাকার বুড়িরডাঙ্গা ও কাপালিরমাঠ মৌজার এই জমিটি বিক্রির উদ্যোগ নেয় তার মা। এজন্য এলাকার চিহ্নিত জমি বিক্রির দালাল হাজী আলম ও গাউছ ফকিরের সাথে তার মা কথা বলেন। পরে তার মা রেনুয়ারা বেগম তাদের কথা মতো ২০২৩ সালের ১১ ও ২৮ ডিসেম্বর ৩১২০ এবং ৩২৫৭ দাগের জমিটি সেল পাওয়ার রেজিস্ট্রি করে দেয়।
কিন্তু এই দুই দালাল তার মায়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র করে নিজেদের নামে ওই জমিটি দলিল করে নেয়। প্রতারণার এই খবর জানতে পেরে পরে তার মা বাগেরহাটের যুগ্ন জেলা জজ আদালতে সেল পাওয়ার বাতিলের দেওয়ানি ৯/২৪ মামলা করেন। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দুই প্রতারক দালাল হাজী আলম ও গাউছ ফকির। বিভিন্নভাবে তার মাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী রেনুয়ারা বেগমের মেয়ে নাসরুম আলম।
এ বিষয়ে জমির দালাল হাজী আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, তার মাধ্যমে রেনুয়ারা বেগম জনৈক মাহমুদ হাসান ও সারাফাত হাসান শাকিল নামে দুই ব্যক্তিকে এই জমি সেল পাওয়ার দেয়। এই দুই ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি সাড়ে ৫শতক, গাউছ ফকির ৫১শতক এবং সেলিম মোল্লার নামে এক ব্যক্তি সাড়ে ৫শতক জমি কিনে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও দাবি করেন।