সিনিয়র নিজস্ব প্রতিবেদক
বানিজ্য। অনেক স্পা পার্লার বাহির হতে তালাবদ্ধ হলেও ভিতরে চলে অনৈতিক কার্যক্রম। সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে চলে কাস্টমার আনা নেওয়ার কাজ।
গুলশান ১নং, রোড়ের ১৩০নং হাউস লিফটের ৩ সোহাগ-পাপ্পুর নেতৃত্বে সম্পূর্ণ ফ্লোরে ছোট ছোট কক্ষে মাদক সেবন সহ চলছে অশ্লীলতা। মেহেদী হাসানের তত্তাবধানে রয়েছে, হ্যান্ডস অফ গোল্ড, বাড়ি নং-১২ বি( (৪র্থ তলা) রোড নং-৫৫। মোঃ ফাহিমের নেতৃত্বে “বাব সামরান স্পা” বাড়ি রোড নং-৬৮ গুলশান -২। মোঃ বাহার উদ্দিন এর”হট স্কোন স্পা” রোড নং-৯৯ বাড়ি নং-৩৩ গুলশান -২। তানিয়ার “হিলটন স্পা” জাহিদ প্লাজা (৫ম তলা)। নয়ন হোসেনের “ডায়মন্ড সেলুন এন্ড স্পা”, প্লাটিনাম মার্কেট।হোয়াইট বিউটি সেলুন এন্ড স্পা,বাড়ি নং-১০১ আর এম সেন্টার (৫ম তলা)। মোঃ হাসানের স্পা পার্লার রয়েছে, রোড নং-৪৭ বাড়ি নং-২০।বারিধারার স্পা ব্যবসায়ী জলিল।আবুল হোসেনের “সেভেন স্পা লিঃ” বাড়ি নং-৩২ (৭ম তলা)।আই কেয়ার স্পা বাড়ি নং ৭/এ ২য় তলা রোড নং-৪১।হাসিনা মমতাজ হাসির সেভেন স্পা বাড়ি নং-৩/এ (১১তলা) রোড নং-৪৯। স্মাইল স্পা,বাড়ি নং-৬ বি (৫ম তলা) রোড নং-৪৪।লোটাস আই স্পা, জব্বর টাওয়ার (১০ম তলা)। মনজুর হোসাইন মিষ্টির “রিয়া স্পা” বাড়ি নং-৭/এ রোড নং-৪১। স্মার্ট বিউটি কেয়ার, বাড়ি নং-৬০ বি (৪র্থ তলা) রোড নং-৪৫। “হ্যাপি আই স্পা” বাড়ি ৩৩ (৪র্থ তলা) রোড নং-৪৫। আশরাফ ঢালির “রিয়া স্পা” বাড়ি নং-১৫ রোড নং-৬৮/এ।ডলি আক্তারের” হ্যাভেরা স্পা” বাড়ি নং-১৩/১ রোড-১২।ফারিয়া আক্তারের ” হ্যাজামা সেন্টার” নাভানা টাওয়ার লিফটের ২২। মিঠু -সুমন গংদের “বিডি জেন্টস পার্লার”, নাভানা টাওয়ার, লিফটের -১৯। পায়েল এর অধীনে রোড -৪ হাউস নং-৩ বনানী। মোঃ সহিদের রোড নং ২৭হাউজ নং ৩৭ লিফটের ৫ তলা। মোঃ আসাদের রোড নং ১১ হাউজ নং ৫০ পিজা হাটের উপরে। মোঃ জনির রোড নং ২ হাউজ নং -২৬ (২য় তলা)৷ মো:পাপ্পু রোড নং ১৩০ হাউজ নং-২৮ লিফটের ৩। মোঃ আজাদের খুশবু রেস্তোরাঁয় ৪তলা। মোঃ কুদ্দুসের রোড নং ৪১ হাউজ নং ৭/এ ৬। মো: সাগরের জব্বার টাওয়ার লিফটের ৯ম তলা। মো; দিপা রোড নং ৩৩ হাউজ নং ৬ লিফটের ৪। মো: জাকির রতনের ক্যাসেল স্পা হাউজ নং ৯১ / বি ১,২,৩,৪ তলা। মোঃ শাহ আলমের রবি টাওয়ারের পাশের বিল্ডিং এনসিসি ব্যাংকের উপরে লিফটের -৫ নেমে এক সিঁড়ির নিচে গুলশান-১। মোঃ আবিরের রোড নং- ১৩০ হাউজ নং-২৮ লিফটের ৪। মোছাঃ পায়েল রোড নং- ৪৭ হাউজ নং-৪৯ লিফটের ৪। এর বাহিরেও নাম না জানা গোপন অসংখ্য স্পা পার্লারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যৌনকর্মী ও মাদক ব্যবসায়ীরা।
গুলশান অভিজাত পাড়া সহসাই যেন স্পার নামে নিরাপদ যৌন পাড়া হয়ে উঠছে। এ সকল স্পার শত-শত নারী প্রতারনা, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রমে জড়াচ্ছে। স্পা করাতে আসা ব্যক্তিরা এক বার ফেঁসে গেলে আর রেহাই মিলছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগীরা জানান, স্পা করার ভিডিও ধারন করে পরিবার কে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। এ সকল স্পা বা যৌন পার্লারে ধ্বংস হচ্ছে শিক্ষার্থী, যুব সমাজসহ নানা পেশার লোকজন।
এ ব্যপারে, বনানী সোসাইটির কর্মকর্তারা “অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা দাবি জানান”।
স্পার আড়ালে অনৈতিক কার্যকলাপের ব্যপারে এসি গুলশান জোন মুঠোফোনে বলেন, আমি শুনেছি এসব অভিযোগ মিথ্যা নয়। তথ্য ও অভিযোগ পেলে আমরা নিয়মিত অভিযান করে থাকি। আপনার কাছে এমন কোন তথ্য থাকলে প্রতিবেদন দিন এ ধরণের অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানায় নির্দেশ দেয়া আছে, অপরাধের বিষয়ে থানায় জানালে সংশ্লিষ্ট থানা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কার্যত: ঐ প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ একই স্থানে তাদের নিয়ন্ত্রিত অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে।
একজন বাসিন্দা নাম না প্রকাশের শর্তে বলছেন, এসব কার্যক্রমে লিপ্ত ব্যক্তিদের নিষ্কিয় রাখতে যাদের নজরদারি রাখা দরকার তারাই হয়তো অজানা কারণে দায়িত্ব থেকে নিষ্কিয় রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তা না হলে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে হঠাৎ করে তাদের দৌড়াত্ম আগের চেয়েও বেশি বেড়ে গেছে। অনেকে আবার নতুন ভাবে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে শুরু করেছে।
মূল কথা হলো সমাজ বিরোধী কার্যক্রমকে প্রশ্রয় না দেওয়া ব্যক্তিরা যতো দিন আবার এমন দায়িত্বশীল চেয়ারে আসীন না হবে ততো দিন এসব কর্মকাণ্ড নির্মূল বা নিষ্কিয় হবে তা আশা করা যায় না। গণমাধ্যম কর্মীরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে সংগঠিত এমন সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের তথ্য তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্তা ব্যক্তিদের দৃষ্টি গোচরের জন্য তারা হয়তো বিষয়গুলো বিধি মতো সুরাহা করবেন। এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা সব সময় দাবী করেন, অশ্লীলতার এমন আগ্রাসন থেকে মুক্ত সামাজিক পরিবেশ ও পাপাচার মুক্ত সুন্দর মানব সমাজ। সেক্ষেত্রে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সর্বমহল যেনো তাঁদের যথাযথ ভূমিকা রাখেন সেই আশা প্রত্যাশা করেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা।