ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংবাদপত্র ক্র্মী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। উত্তপ্ত রয়েছে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় পৌর শহরের কাউতলী এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ওবায়দুর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিন, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আতায়ে এলাহী শাওন, ছাত্রলীগ নেতা জারাফ লাবিব, আতাউর রহমান রানা আহত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ সামনে অবরোধ কর্মসূচী শুরু করে বিভিন্ন কলেজের মেয়ে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের চাপের কারনে পিছু হাটতে থাকে। কোন কোন নেতা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে নামা অপভাষা ব্যবহার করে। পরবর্তীতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে কাউতলী গোলচত্বর এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। তারা কাউতলীর প্রধান সড়ক হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিনের নেতৃত্বে মিছিলটির গতিরোধ করেন। তখন আন্দোলনকারীরা ও ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আন্দোলনকারী ও সাধারন শিক্ষার্থীদের মধ্যে হামলা ও ইটপাটকেল ছুড়েন। এসময় শাওন ও রবিনসহ ৫জন নেতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এরপর খবর পেয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা এসে ধাওয়া দিলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে বুধবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মেয়ে শিক্ষার্থীরা। সেসময় শিক্ষার্থীদের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করতে ছাত্রলীগের কর্মীরা ১০-১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ করে এবং তাদের ব্যানার ছিড়ে ফেলে। তাছাড়া শহরের কাউতলীর মোড়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে।এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বলেন, নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ তৎপর রয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি তদন্ত করা হবে।আন্দোলনকারীদের হামলায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা আহত হয়েছে বলে শুনেছি।