আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি।
আজ এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম স্টেটসম্যান।
তিনি মন্তব্য করেন, একজন ‘ভারতীয় নারীকে’ হোয়াইট হাউসের দৌড়ে দেখে তিনি রোমাঞ্চিত।
কমলা হ্যারিসের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে রুশদি বলেন, ‘তিনি একজন নিম্নশ্রেণীর মানুষ যার মধ্যে কোনো মহৎ গুণ নেই।’
ভারতে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ লেখক রুশদি আরও জানান, ‘কমলার প্রতি আমার এক হাজার শতাংশ সমর্থন রয়েছে।
‘সাউথ এশিয়ান মেন ফর হ্যারিস’ নামের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমি মুম্বাই থেকে উঠে আসা মানুষ এবং একজন ভারতীয় নারীকে হোয়াইট হাউসের জন্য লড়তে দেখা অসাধারণ ব্যাপার। আমার স্ত্রী একজন আফ্রিকান আমেরিকান। এ কারণে একজন অশ্বেতাঙ্গ ভারতীয় নারীকে প্রার্থী হিসেবে দেখে আমাদের ভালো লেগেছে’, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও মন্তব্য করেন, গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে কমলা প্রবেশ করার পর মার্কিন রাজনীতিতে ‘বিবর্তন’ এসেছে।
‘অসামান্য এক বিবর্তন ঘটেছে মার্কিন রাজনীতিতে। কমলা হ্যারিসের প্রার্থিতার খবর প্রকাশের এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনার মোড় পুরোপুরি ঘুরে গেছে, এবং তা ঘটেছে খুবই আনন্দদায়ক ভাবে’, যোগ করেন রুশদি।
‘আমাদেরকে এটা নিশ্চিত করত হবে, কারণ বিকল্পকে সামনে আসতে দেওয়া যাবে না। এই সংকীর্ণমনা মানুষ, যার একটিও মহৎ গুণ নেই, তিনি চাইছেন দেশকে একনায়কসুলভ শাসন ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যেতে। এটা হতে দেওয়া যায় না। আমি বিশ্বাস করি কমলাই সেই মানুষ, যিনি এটা প্রতিহত করতে পারেন। আমি তার পক্ষে এক হাজার শতাংশ সমর্থন জানাচ্ছি’, যোগ করেন তিনি।
দুই বছর আগে আততায়ীর ছুরিকাঘাতে এক চোখে দৃষ্টি হারান ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ খ্যাত সালমান রুশদি। তার ওপর হত্যাপ্রচেষ্ঠার সঙ্গে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ ও ইরানের যোগসূত্র থাকার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনের দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন এবং নতুন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের (৫৯) নাম সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বিল ক্লিনটনসহ অসংখ্য প্রভাবশালী নেতার সমর্থন পেয়েছেন কমলা।
এক সপ্তাহের মধ্যেই কমলার নির্বাচনী তহবিলে জমা পড়েছে ২০ কোটি ডলার এবং তার সঙ্গে কাজ করার জন্য এক লাখ ৭০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নাম লিখিয়েছেন।
মতামত জরিপের তথ্য অনুযায়ী, তরুণ প্রজন্মের কাছে ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয়তা বাড়ছে কমলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘বুড়ো’ বাইডেন সরে যাওয়ায় নবজীবন পেয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা।