বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীতে শ্রমিক দলের নামে চাঁদা তোলা হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টায় পৌর শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে চাদাঁ তোলার রশিদ বই সহ জাহাঙ্গীর নামে একজনকে আটক করে স্থানীয় জনতা। এরপর রশিদ বই সহ আইনের হাতে তুলে দিয়েছে শ্রমিকদলের আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
আটকৃত জাহাঙ্গীর বলেন, আমাকে টিপু চাঁদা তুলতে বলছেন তাই আমি তুলেছি। আমি ছাড়াও আরো দুই তিন জনে তুলেছে।
আমতলী উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সোহাগ বলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চাঁদাবাজি করে না এবং কেউ যদি চাঁদাবাজি করে তবে তা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে।
আমতলী উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেম্বার কামাল হোসেন বলেন আমরা সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। যদি কোথাও এমন কোনো সংবাদ আপনারা পান তবে আমাদেরকে জানাবেন, আমরা তাদের আইনের হাতে তুলে দেবো।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই মোহাম্মদ রুহুল আমিন টিপু, তার ফেসবুক আইডিতে লিখে পোষ্ট করেন যে এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্র! তিনি আরো বলেন, আমি আমতলী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক। আমি এবং আমতলী উপজেলা শ্রমিক দল এই ষড়যন্ত্র কারীদের বিচার চাই। স্বাক্ষর ব্যতীত কোন কাগজই বৈধ হতে পারে না। যে কেহ চাইলেই এরকম কাগজ ছাপাতে পারে।নাম লিখে কি কেউ চাদাঁ আদায় করে?
বলেও প্রশ্ন ছুড়েন তিনি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, সন্ধ্যা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন দিকে চাঁদাবাজি হচ্ছে এমন সংবাদ পাই। কিন্তু এত দ্রুত আমরা ধরতে পারবো তা বুঝতে পারিনি। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি। এ ব্যাপারে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আমতলী শাখার সভাপতি মো,তারিকুল ইসলাম সোহাগ। লিখিত বক্তব্যে সোহাগ বলেন,দলীয় নিদের্শনা না মেনে একটি কুচক্র মহল বিশৃংখল করার অংশ হিসেবে ৯ ই আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।