স্টাফ রিপোর্টার।।
চরফ্যাশনে রাবেয়া( শান্তা) (১৮) নামের এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে শশীভূষণ থানা পুলিশ। পরিবারের দাবি শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ জুলিয়ে রেখেছে নববধূর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।
এবিষয়ে গতকাল (২৬ জুলাই) শুক্রবার সকালে নববধূর মা রানু বেগম বাদি হয়ে মেয়ে রাবেয়া ওরপে শান্তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে শশীভূষণ থানায় একটি (ইউডি) মামলা দায়ের করেছেন।
২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডে বেড়িবাঁধের ঢালে তরিকুল ইসলাম মাঝি বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
নববধূর মা রানু বেগম জানান,গত ৪ মাস আগে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় তাদের।বিয়ের সময় ১৬জন বরযাত্রীকে পোষাকসহ যাবতীয় মালামালসহ মেয়ে রাবেয়া ওরপে শান্তাকে তুলে দেন স্বামী আলামিন এর হাতে। এরপর থেকেই বিভিন্ন অযুহাতে মোটা অংকের টাকা দাবি করতো নববধূর স্বামী আলামিন ও শশুর তরিকুল মাঝি।ধার হিসেবে দুই দাগে একলাখ ৭০ হাজার টাকা এনেছেন স্বামী ও শশুর। ওই টাকা ফেরত চাইতো নববধূ শান্তা। এনিয়ে মাঝে মধ্যেই হতো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ছোটখাটো ঝগড়া ঝাটি।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন তার (নববধূ) স্বামী আলামিন একটি এনজিও থেকে ৫০হাজার টাকা লোন নিয়ে বাড়িতে আসেন।পরে শান্তার বাবার দেওয়া ধারের টাকা পরিশোধ করতে বললে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।তিনি অভিযোগ করে বলেন, টাকা ফেরত চাওয়ায় শান্তাকে তার স্বামী ও শাশুড়ী পিটিয়ে হত্যা করে লাশ জুলিয়ে রেখেছে।
এদিকে অভিযুক্ত স্বামী আলামিন পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করলেও স্ত্রী মৃত্যুর কারণ বলতে পারেনি।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই শশীভূষণ থানা- পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে গতকাল শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান,এবিষয়ে পুলিশের তদন্ত চলমান আছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানাযাবে।