মোঃ আবু হাসান নিজস্ব প্রতিনিধি।।
রাজধানীর তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া বটতলা এলাকার চিহ্নিত অস্ত্রধারী যুবলীগ নেতা ভূমি দস্যু, নারী লোভী প্রতারক মাহফুজুর রহমানের অত্যাচারের অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। কথায় কথায় ভুমি দখল, অস্ত্রবাজী, চাঁদাবাজি, মারধর তার কাছে নিত্য দিনের ঘটনা। প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের লোকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছেন তুরাগ উত্তরা জুড়ে। সম্প্রতি ছাত্র জনতা তাকে ধরে পুলিশে সপর্দ করলেও অদৃশ্য ইশারায় একদিন পরে মধ্য রাতে বেরিয়ে আসে তিনি। বর্তমানে তিনি কনকর্ড লিমিটেড কোম্পানির মিডিয়া প্রধান। মাহফুজুর রহমানের রয়েছে উত্তরায় একাধিক ফ্ল্যাট বাসা। অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাহফুজুর রহমান যুবলীগের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রভাবন খাটিয়ে উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা। তিনি ব্যবহার করেন একাধিক প্যারাডো গাড়ী এবং প্রশাসনের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য সেই গাড়ীতেই সরকারি স্টীকার ব্যবহার করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন নেতা ও সরকারি বড় কর্মকর্তাদের নিকট নারী সাপ্লাই করেন। তিনি নিজেও একজন নারী লোভী এবং তিনি বিভিন্ন নারীদের সাথে অনৈতিক কাজ করার সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করেন এবং পরবর্তীতে ওই নারীকেই ব্লাক মেইল করে থাকেন। মাহফুজুর রহমানের নারীদের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপের একটি ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে কনকর্ড কোম্পানি লিমিটেডের ভুক্তভোগিসহ উত্তরার কয়েকজন ভূক্তভোগীর সাথে কথা হলে তারা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন মাহফুজুর রহমান যুবলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে গরিব অসহায় মানুষের জায়গা জমি ও ফ্লাট বাসা জোর পূর্বক দখল করেন। তার কাছে একাধিক অবৈধ অস্ত্র আছে তিনি তার গাড়ীতে সব সময় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করেন।
মাহফুজুর রহমানকে গত ২৮ শে আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে উত্তরা বিএনএস সেন্টারের পিছন থেকে ছাত্র জনতা আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী তাকে উত্তরা পশ্চিম থানায় সোপর্দ করেন। কিন্তু মাহফুজুর রহমান অলৌকিক ক্ষমতা দেখিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে ছাড়া পান। ধারাবাহিক চলমান রয়েছে পরবর্তী পর্বে আরো কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে আসছেন দ্বিতীয় পর্ব।