নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের রাজধানীর মিন্টু রোড এলাকায় ডিবি পুলিশে দায়িত্ব পাবার পর যেন রাকিবের ভাগ্যের চাকা খুলে গেল। টার্গেট করে ব্যবসায়ীদের তুলে নিয়ে গিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। এভাবে শত শত ব্যবসায়ীদের নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নামে বেনামে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লটের মালিক বনে যান তিনি।
অভিযোগ আছে, এসপি রাকিবের শশুর, শাশুড়ি ও কাছের আত্মীয় স্বজনদের ব্যাংক একাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা রেখেছেন।
এদিকে তার স্ত্রীর নামেও একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লটের মালিকানা রয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি তার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে জমা আছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিবি পুলিশ জানান, রাকিব ডিএমপির মিন্টু রোড এলাকায় ডিবি পুলিশে দায়িত্বে থাকাবস্থায় নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানান তার সহযোগী ডিবি পুলিশ ।
তিনি আরও বলেন, রাকিব ডিএমপির মিন্টু রোড এলাকায় ডিবি পুলিশে দায়িত্বে থাকাকালে প্রথমে টাকাওয়ালা সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে রাস্তা অথবা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ডিবি অফিসে আটকে শারীরিক টর্চার করতো। পরে ঐ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের ফোন করে দশ লক্ষ, বিশ লক্ষ, ত্রিশ লক্ষ করে টাকা দাবি করতো। যদি ঐ ব্যক্তির পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করতো, তাহলে আটককৃত ব্যক্তির জীবনে নেমে আসতো অমানবিক নির্যাতন। যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
সময়ের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আরও লোমহর্ষক ঘটনা। তার স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য নারীকে পছন্দ হলেই, যেকোন উপায়েই হোক না কেন তার সাথে শারীরিক চাহিদা পূরণ করার জন্য ঐ নারীকে তুলে নিয়ে ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করতো বলে জানা গেছে।
ডিএমপির ডিবি পুলিশ থেকে বর্তমান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্বে আছেন বলে জানা গেছে।
দৈনিক সময়ের কন্ঠ ও সময়ের অনুসন্ধানের সিনিয়র নিজস্ব প্রতিবেদক এসপি রাকিবের মোঠোফোনে কল দিয়ে এতো সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে এসপি রাকিব কল কেটে দেন। পরে বহুবার চেষ্টা করলেও এসপি রাকিব ফোন রিসিভ করেননি।