রুবেল মিয়া (রুহুল আমিন)জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা)

নেত্রকোনা সদর ৯ নং ওয়ার্ড নিজাম পুর পৌর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান(৫৫), তিনি বিভিন্ন কলা কৌশল অবলম্বন করে অবৈধ ভাবে জোর খাটিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ঠকিয়ে, গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সব মিলিয়ে নামে বেনামে প্রায় ১৫ কোটি টাকার মালিক। নিজাম পুর ও আসপাশের এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মৃত আব্দুল জলিল মেম্বার এঁর ১ম স্রীর তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আবদুল মান্নান। ভূমি দস্যু আবদুল মান্নান এর জীবনে কোনো চাকরি বা ব্যাবসা করতে দেখেননি এলাকার স্থানীয় লোকজন।

ভয়ংকর ভূমি দস্যু আবদুল মান্নান বিভিন্ন মানুষকে ভয় দেখিয়ে, গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানির শিকার করেছে এমন অনেক পরিবারকে। মারপিট করে অবৈধ ভাবে জায়গা দখল ও ভিটা উচ্ছেদ করে ভিটা ছাড়া করার ঘটনাও ঘটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন মানুষ কথা বললে তাদের মেরে ফেলার হুমকি সহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তার ভয়ে এলাকার মানুষ সত্য বলার জন্য মুখ খুলতে ও ভয় পায়, বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারি সহ সমাজের অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জরিয়ে দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ, ভূয়া জাল দলিল দেখিয়ে জমি দাবি করে ভূমি মালিকদের কাছ থেকে ভূমি আত্মসাৎ। জোর করে ভূমি মালিককে জমি বিক্রয় করতে বাধ্য করে, জমির টাকা আত্মসাৎ করায় হচ্ছে তার কাজ। এমন আরও অনেক অসংখ্য অপকর্মের বিবরণ দিয়েছেন এলাকার স্থানীয় লোকজন।

মৃত আব্দুল জলিল মেম্বার এঁর ২য় স্রীর তিন ছেলে আব্দুল ছামাদ নান্টু(৪৫), আব্দুল কাইয়ুম পিন্টু(৪২) আব্দুল কায়ের জন্টু(৩৮) তারাও কেউ রেহাই পায়নি তার কাছ থেকে। সাক্ষাতে ও গোপন সুত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভুক্ত ভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ভূমি দস্যু আব্দুল মান্নান এর পিতা আব্দুল জলিল মেম্বার, তারি অত্যাচারে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন। এলাকার লোকজন তার ভয়ে সব সময় আতংকে থাকে, আইন ও তাকে কিছু করতে পারে না। তাই এলাকার লোকজন নীরবে তার সকল অথ্যাচার নির্যাতন সজ্জ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন মাসের পর মস বছরের পর বছর। অপেক্ষায় আছেন এলাকার অসংখ্য ভোক্ত ভোগীরা কবে হবে তার বিচার। ভোক্ত ভোগীদের মধ্যে অনেকেই তাদের অধিকার দাবি করে বলেন, আবদুল মান্নান, আমাদের যে সমস্ত জমি অবৈধ ভাবে দখল করে আছে তা আমরা পিরে পেতে ছাই, আমাদের যে সমস্ত জমির উপর অবৈধ ভাবে মিথ্যা মামলা করে আমাদের হয়রানি করছে সেই মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে আমরা মুক্তি চাই এবং তাকে আইনের আওতায় এনে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
(নিউজ চলমান)