বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
* পুনরায় সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে ৫০ জন প্রবীন আইনজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন গঠন করা।
* সংবিধানে গনভোটের পদ্ধতি রাখতে হবে।
* সংবিধান প্রণয়নের খসড়া তৈরী করে জনগনের মাঝে পৌঁছে দিয়ে মতামত গ্রহন করা। জনগন যখন ঠিক করবে তারপর আইনসভা কর্তৃক পাস করা বিধান রাখা। বা গণভোট দিয়ে পাস করার ব্যবস্থা করা।
* সংবিধান সংশোধন, সংযোজন বিষয়ে ভবিষ্যতে কোন প্রয়োজন হলে প্রস্তাব করিয়া জনগনের মতামতের জন্য উপস্থাপন করার বিধান রাখা।
* বর্তমান সংবিধানে অনেক অনুচ্ছেদ আছে যাহাতে জনগনের স্বার্থ পরিপন্থী যার কারণে নতুন করে শাসনতন্ত্র বা সংবিধান তৈরী করা আবশ্যক।
* আইন সভায় ৭৫% আইনজীবী যারা রীতিমত দেশের বিভিন্ন আদালতে প্রাকটিস করেন। তাদেরকে রাজনৈতিক দলগুলো মনোনয়ন দেওয়ার বিধান রাখা।
* রাষ্ট্রপতির নিকট অনেক ক্ষমতা দিতে হবে। যাতে রাষ্ট্রে ক্রান্তিলগ্নে জনগনের স্বার্থে পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেন সে বিধান করা।
* আইন সভার কার্য প্রণানীতে স্পিকার, ডেপুটি ¯ স্পিকার নিদর্লীয় অর্থাৎ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
* আইন সভার সদস্যগনের (সংসদ সদস্য) ক্ষমতা সীমিত করা। তারা শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন করবে, মন্ত্রীদের কাজের জবাবদিহি করার বিধান ও আইন সভার সদস্যগণ কোনো প্রকার আইন প্রণয়ন করা, রাষ্ট্রে মন্ত্রণালয়ের কাজের জবাবদিহি ব্যতিরেকে কোন প্রকার স্থানীয় প্রশাসনের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে না, তার বিধান রাখা।
* বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কার্য প্রণালী জনগনের জানা নাই। তবে রাষ্ট্রে সকল দপ্তরের কার্যপ্রনালী জনগনের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করার বিধান করা।
* সরকারী নিয়োগে ২% প্রতিবন্ধী কোটা রাখার বিধান করা, বাকি সকল কোঠা বাতিল করা।
* সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা এবং অবসর বয়স ৬৫ বৎসর করা।
* সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের সময় অঙ্গিকারপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করা, যাতে চাকুরী শেষে কোন রাজনৈতিক দলে যোগদান করিতে পারবে না। তার পরিবারের কেহ রাজনৈতিক দলে দর্শনে বিশ্বাসী না হওয়া। যদি কখনো প্রমান পাওয়া যায় তবে চাকুরী থেকে তাৎক্ষনিক বহিস্কার করা ও জেল-জরিমানা থাকার ব্যবস্থা করা।
* যদি কোন ব্যক্তির সেবা করার জন্য আগ্রহ জাগে তবে স্বতন্ত্রভাবে সংসদ নির্বাচনে ও স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহন করার বিধান করা।
* নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা হইতে বর্তমান পর্যন্ত সকল রাজনৈতিক দলের কমিটির তালিকা নির্বাচন কমিশনে দাখিল করার বিধান রাখা।
* যারা রাজনৈতিক দলের সদস্য বা নিজে, পুত্র-কন্যা, পরবর্তী বংশধর কোনো সরকারী চাকুরীতে আবেদনও করতে পারবে না ও নিয়োগ পাবে না তার বিধান করা।
* সরকারী চাকুরীজীবীরা কোন সরকারের আদেশ মতে কার্যক্রম করতে পারবে না, তারা শুধু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কার্যপ্রণালী মোতাবেক কার্য সম্পাদন করবে তার বিধান রাখা।
* সকল ক্ষেত্রে কার্য প্রণালী নতুন ভাবে তৈরী করা।
* রাষ্ট্রের সকল সরকারী কর্মজীবীদের রন্দ্রে রন্দ্রে রাজনৈতিক দর্শন ও দূর্নীতি গ্রাস করেছে যা প্রতিরোধ করা দরকার তার ব্যবস্থা করা।
* নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, নিরপেক্ষ স্বচছতা গঠন করার লক্ষ্যে সমাজে যার বংশের কোন রাজনৈতিক দর্শন নাই এবং ভবিষ্যৎ থাকবে না, সেই লোক নিয়োগ করে পুনঃগঠন করা, বর্তমান নির্বাচন সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে বহিস্কার করে নতুন করে নিয়োগ করার ব্যবস্থা করা।
* নির্বাচন কমিশনের অধিনে উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে ডিসির ক্ষমতা প্রদান এবং জেলা নির্বাচন অফিসারকে বিভাগীয় কমিশনারের ক্ষমতা প্রদান, বিভাগীয় নির্বাচন অফিসারকে সচিবের ক্ষমতার মর্যাদা প্রদান করা। যাতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সবার উচ্চ ক্ষমতাবান হবেন তার বিধান রাখা।
* বিসিএস (ইসি) নির্বাচনের বিধান রাখা, তবে পদোন্নতি নির্বাচন বিষয়ে উপরোক্ত পদে প্রদায়ন করার বিধান করা।
* যাতে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে তার অধিনকৃত অন্যান্য ক্ষেত্রের অফিসারগন নির্বাচন অফিসারের আদেশমত কার্যক্রম করতে পারেন এবং যদি কোন কর্মকর্তা অনিয়ম-দূর্নীতি করলে নির্বাচন অফিসার তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করে চাকুরী হইতে বহিস্কারের ক্ষমতা প্রদানের বিধান রাখা।
* নির্বাচন চলাকালীন সময়ে যারা সন্ত্রাসী প্রকৃতির তাদের তালিকা করে জেলাহাজতে আটক রাখা, যাতে নির্বাচনে উক্ত সন্ত্রাসীরা কোন প্রকার প্রভাব, পেশীশক্তি, নৈরাজ্য, ধ্বংশযজ্ঞ, কেন্দ্র দখল করতে না পারে তাহার বিধান রাখা।
* রাজনৈতিক দলে প্রবেশ করতে হলে সমাজের সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আসতে হবে। যাকে তাকে ধরে এনে রাজনৈতিক দলের সদস্য করা যাবে না তার বিধান রাখা।
* রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে হলে নূন্যতম সামাজিক বিজ্ঞান, পৌরবিজ্ঞান, অর্থনীতি, আইন বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) পাস থাকতে হবে, তার বিধান রাখা।
* ¯’ানীয় নির্বাচনে যারা অংশ গ্রহন করবেন তাদেরকে নূন্যতম সামাজিক বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ¯’ানীয় সরকার উন্নয়ন বিষয়ে স্নাতক পাস হতে হবে এবং যারা সদস্য হবেন নূন্যতম এইচ.এস.সি পাস হতে হবে, তার বিধান রাখা।
* যারা উপজেলা পরিষদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তারা চেয়ারম্যান পদে সামাজিক বিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়ে এবং ¯’ানীয় সরকার উন্নয়ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাসের বিধান রাখা।
* জেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে, তার বিধান রাখা। দেশের সকল নির্বাচন এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠানের বিধান রাখা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ ১লা জানুয়ারী দায়িত্বভার ছেড়ে দেওয়ার বিধান রাখা।
* সংসদ নির্বাচনের পরের বছর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, তার পরের বছর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, তার পরের বছর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, সকল নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ও বিজিবি মোতায়েন করার বিধান রাখা।
* নির্বাচন কমিশনারগণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অফিসার থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগের বিধান রাখা এবং অন্য ক্ষেত্র থেকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ না করার বিধান রাখা।
* নির্বাচন কমিশন কারো অধীন না রাখার বিধান করা এবং তাহারা স্বতন্ত্র থাকবে।
* দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে যাহারা দূর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদেরকে সমাজ থেকে আলাদা রাখা এবং তার পরবর্তী প্রজন্মকে সমাজ, রাষ্ট্রীয় ভাবে কোনঠাসা করে বয়কটের ব্যবস্থা করার বিধান রাখা।
* দূর্নীতি দমন কমিশন থেকে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চেয়ারম্যান, প্রধান কর্মকর্তা এবং পরিচালক, তদন্তকারী কর্মকর্তার নিয়োগ করার বিধান রাখা।
* যেকোন দপ্তরে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন প্রকার অনিয়ম, অনৈতিক ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠলে সাথে সাথে বহিস্কার করা এবং তার কার্যক্রম স্থাগিত রেখে অন্য সংস্থার বা দপ্তরের ব্যক্তি দিয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে তাহার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের বিধান রাখা।
* স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রভাব মুক্ত রাখা এবং দলের প্রতীক ব্যবহার না করা, কোন ব্যক্তির পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল সমর্থন করলে তার প্রার্থীতা বাতিল হবে, তার বিধান রাখা।
* স্থানীয় প্রতিনিধিরা তাদের মেয়াদ শেষে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত/সংযুক্ত হতে পারবে না তার বিধান রাখা।
* কোনো পেশাগত প্রতিষ্ঠানের বা হলে ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। যেমন-মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, সাধারন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি থাকবে, তবে ক্যাম্পাসের
* বাংলাদেশের কোন মুদ্রা বা অর্থে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির ছবি রাখা যাবে না।
বাহিরে রাজপথে ও দলীয় কার্যালয়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রকার দলীয় কার্যক্রম, মিটিং, মিছিল, সভা, সভাবেশ করা যাবে না। ছাত্রাবাসে কোনো প্রকার রাজনৈতিক দলের কমিটি থাকবে না এবং ছাত্রাবাস/হল দখলদারিত্ব থাকবে না তাহার বিধান রাখা।
* ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রকার রাজনৈতিক দলের সমর্থন ও প্রার্থী থাকবে না। কোনে প্রকার সংগঠনের প্রার্থী থাকবে না তাহার বিধান করা।
* সকল বিশ্ববিদ্যালয় বা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যোগ্য ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে উপচার্য্য, উপ-উপচার্য্য, প্রক্টোর নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন প্রকার রাজনৈতিক দর্শন বিশ্বাসীকে নিয়োগ প্রদান না করা। যদি কোন শিক্ষকের ভিতরে রাজনৈতিক দলের দর্শন থাকে তাকে কোন প্রকার পদোন্নিত দেওয়া যাবে না। শুধু লেকচারার হিসেবে থাকবেন তাহার বিধান রাখা।
* দেশের সকল ক্ষেত্রে যোগ্য ও জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে দপ্তরের প্রধান করবেন, কোন প্রকার ইহার ব্যত্যয় করা যাবে না তাহার বিধান রাখা।
* রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিরা যখন মন্ত্রী হবেন, তারা ঐ দলের কোন পদে দায়িত্বে থাকতে পারবে না এবং রাজনৈতিক কোন সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখতে পারবে না, তাহার বিধান রাখা।
* যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতি, রাষ্ট্র ও জনস্বার্থ বিরোধী সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠে, তখনই তাকে অব্যাহতি/রিলিজ করে, নিরপেক্ষ সংস্থা দ্বারা তদন্ত করে এর বিচারের আওতায় আনা। বিচারে যদি প্রমানিত হয়, তবে তার আইডি কার্ডে এ/সি (দূর্নীতিগ্রস্থ) লিখে প্রকাশ করা এবং তার পরবর্তী বংশধর সরকারী অনুদান প্রাপ্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে পারবে না এবং কোন সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরীতে নিয়োগ পাবে না, তার বিধান রাখা। (তাহলে দুর্নীতি হ্রাস পাবে।)
* মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কমিশন গঠন করে, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করা ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে চাকুরী নেয়ায় বা অবসর গ্রহনকারীদের খুঁজে বের করে তাহা শাস্তির আওতায় এনে সরকারী টাকা ফেরৎ আনার ব্যবস্থা করার বিধান রাখা।
* মুক্তিযোদ্ধার কোন দল নেই, তারা সকলের নিকট সম্মানের পাত্র। একই ভাবে যারা ২০২৪ সালে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছে এবং আহত হয়েছে তাদেরকে ঐ একই ব্যবস্থার বিধান রাখা।
* মিরপুরের শহীদ মিনারের দক্ষিণ পাশে ২০২৪ সালের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে নিহতের জন্য সমাধি নির্মান করা।
* কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধানের জন্ম ও মৃত্যু দিবস জাতীয় ভাবে পালন না করার বিধান রাখা।
* সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশের সকল শ্রেণীর সেবা প্রতাশীদের প্রতি সম্মান করে স্যার/জনাব হিসেবে সম্মান করার বিধান রাখা।
* সংবাদ মাধ্যমগুলো যারা দলীয় তাদেরকে বহিস্কার করা, যারা সাংবাদিকতা করে তারা বা তাদের বংশধর কোনো রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী হতে পারবে না তার বিধান রাখা।
* সকল টিভি চ্যানেলগুলো রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখা এবং সংবাদ প্রচারে স্বাধীন ভাবে প্রচার করা, যে ঘটনা ঘটবে, ঠিক তা প্রচার করার বিধান রাখা।
* কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি সংবাদ মাধ্যমে কোন পদ নিয়েছে বা মালিক হতে পারবে না।
* দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও মসজিদ কমিটিতে রাজনৈতিক দলের দর্শনে বিশ্বাসী কমিটি না রাখার বিধান করা।
* মসজিদ কমিটিতে যে ব্যক্তি ইমাম সাহেব, তার অবর্তমানে ইমামতি করার যোগ্যতা স¤পন্ন ব্যক্তিকে মসজিদ কমিটির সভাপতি নির্বাচন করার বিধান রাখা।
* ভবিষ্যতে যদি কোনো সময় শাসনতন্ত্র পরিবর্তন, সংশোধন, পরিমার্জন, সংযোজন করার প্রয়োজন হয় ’জনস্বার্থে জনগনের গণভোটাভুটির পর সংসদে উপস্থাপন, সংসদের আইন প্রনেতাগন ভোটাভুটির মাধ্যমে পাস করার ব্যবস্থা রাখা।
* আইন সভায় সরকারী দলের সদস্য তার স্বাধীন মত প্রকাশ করার অর্থাৎ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বা ভেটো দিতে পারবে, তাতে তার সদস্য পদ বাতিল হইবে না, তার বিধান করা।
* ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯৭ ধারা বাতিল করা।
* কোনো দপ্তরে চুক্তি ভিত্তিক কাউকে নিয়োগ করা যাইবে না, তার বিধান রাখা।
* সরকারী নিয়োগের বেলায় ১টি কমিশন গঠন করার বিধান করা, যাতে স্বচছ, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পান, কোনো প্রকার সুপারিশে নিয়োগ প্রদান করা যাবে না। যে ব্যক্তি কোন সুপারিশ নিয়ে আসে, তার সনদ সারাজীবনের জন্য স্থগিত রাখার ব্যবস্থা করা।
* যে দপ্তরে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার বিধান রাখা, যাতে প্রশ্নকর্তা অবান্তর প্রশ্ন করতে না পারে তার বিধান রাখা।
* দেশের কোন ব্যবসায়ীরা রাজনীতি বা রাজনেতিক দর্শনে বিশ্বাসী হতে পারবে না। যারা রাজনৈতিক ভাবে পরিচিত হয়েছে, তাহারা ব্যবসার মালিকানা ছেড়ে দিতে হবে এবং ব্যবসা ট্রাষ্টে দিতে হবে। উক্ত ব্যবসা থেকে কোনো প্রকার অর্থ দাবী করতে পারবে না। তার বংশধরগণ উক্ত ব্যবসায় কোন পদ বা মালিকানা পরিচয় দাবী করতে পারবে না, তার বিধান রাখা।
* ব্যবসায়ীরা কোন রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিতে পারবে না। তার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতি বছরে প্রতিখাতে অডিট করার বিধান রাখা। যাতে ব্যবসায়ীরা কাউকে চাঁদা দিলে চিহিৃত করা যায়।
* জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সকল অসৎ কর্মকর্তা/কর্মচারী বহিস্কার করে নতুন ব্যক্তিবর্গকে নিয়োগ দিয়ে স্বচছভাবে কার্য প্রণালী তৈরী করে পূর্ণগঠন করা।
* দেশের সকল ব্যক্তির নামে ইটিআইএন সনদ তৈরী করা, সকলেই প্রতি বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করার বিধান রাখা। জনসাধারণ যাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আয়কর অতি সহজভাবে প্রদান করতে সেই পদ্ধতির ব্যবস্থা করা।
* সকল সরকারী-বেসরকারী-স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের সম্পদের হিসাব বিবরনী ও সকল ব্যক্তির স্বপদের হিসাব বিবরনী প্রতি বৎসর সঠিকভাবে দাখিল করার বিধান রাখা।
* কোন প্রকার আয়ের সাথে ব্যয়ের ফাঁকিবাজী/অসামঞ্জস্য হলে দ্রুততার সহিত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার বিধান রাখা।
* দেশের সকল ব্যক্তি আয়ের বিপরীতে ব্যয়ের হিসাব এবং উদ্বৃত্ত স¤পদের প্রতি বছর বছর নিরীক্ষা করা, কোন ব্যক্তি দুর্নীতি করে কোনো স¤পদ করেছে কিনা, তাহা তদন্ত করার বিধান রাখা।
* তদন্তে অপরাধ প্রমানিত হলে শাস্তি প্রদান করা, তৎপর ঐ ব্যক্তির বংশের কেহ চাকুরী করলে বা চাকুরীরত থাকলে তাকে বহিস্কার করার বিধান রাখা।
* দেশের বেকার সমস্যা দূরীকরনের লক্ষ্যে ৮ম শ্রেণী পাসের পর ৪০টি বিষয় নির্ধারন করে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিটি বিষয়ে ২০ নম্বরে নৈব্যক্তিক পরীক্ষা নিতে হবে। যেকোন বিষয়ে ভালো নম্বর পাবে, তাকে সেই বিষয় নিয়ে পরবর্তী শ্রেণীতে লেখাপড়া করতে হবে। লেখাপড়া শেষে ঐ বিষয় তাকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যব¯’া করতে হবে। তাহলে শিক্ষাগত বেকার সমস্যা দূর হবে তাহার বিধান রাখা।
* শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বর্তমান সিলেবাস সৃজনশীল বাতিল করে পূর্বের সিলেবাস অর্থাৎ লিখিত ভাবে পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা, কোন প্রকার নৈব্যক্তিক থাকবে না। ১০০ নম্বর লিখিত আকারে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করার বিধান রাখা।
* দেশের রাজনৈতিক হানাহানির কারনে ক্রান্তিলগ্নে যে বিষয় বিরোধ দেখা দিবে, সেই বিষয়ে গণভোট দিয়ে জনগণ যাহা চায় তাহা বাস্তবায়ন করে রাজনৈতিক হানাহানি বারিত করার বিধান রাখা।
* পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠন করা, যাতে বিচার বিভাগে কোন সরকার বা অন্য কোন অধিদপ্তর হস্তক্ষেপ করতে না পারে। উচ্চতর ও নিম্নতম আদালতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা তার বংশ রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে উ”চ আদালতে প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিক করেন এবং কোন রাজনৈতিক দর্শন বিশ্বাসী ব্যতিত সৎ, যোগ্যতা, নিষ্ঠাবান মেধাবী এডভোকেট থেকে ৩০%, বাকী ৭০% নিম্ন আদালতের বিচারকদের থেকে নিয়োগ প্রদান করার বিধান রাখা। এখানে কোন প্রকার জৈষ্ঠ্যতা লংঘন করা যাবে না তার বিধান রাখা।
* বিচার বিভাগীয় মনিটারিং সেল গঠন করা, যারা দূর্নীতি করবে তাদের বিষয়ে তাৎক্ষনিক বহিস্কার করা এবং নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির বিধান করা।
* যেক্ষেত্রে কোন বিচার বিভাগীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দর্শন বা পিতা, ভাই, বোন, সন্তান, স্ত্রী, কেহ যদি রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী, তবে ঐ ব্যক্তি চাকুরী হতে বহিস্কার ও সরাসরি জেলখানায় পাঠানোর বিধান করা।
* বিচারকগণ নির্দিষ্ট ১টি সিম তার মোবাইলে ব্যবহার করতে পারবে, একাধিক সিম ব্যবহার করতে পারবে না। ঐ ফোন নম্বর মনিটারিং সেল ও সচিবালয় কমিটির নিকট দিতে হবে।
যদি কোন ব্যক্তি কোন বা অন্য কোন মাধ্যমে বিচারককে হস্তক্ষেপ করেন যা তার সিম ট্র্যাক করে অপরাধীকে শনাক্ত করা যায় তার বিধান করা।
* কোনো সরকারী অফিসার প্রতি জেলায় কর্মরত থাকতে হবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রতি থানায় কর্মরত থাকতে হবে তার বিধান রাখা। যাতে এক অফিসে বেশি দিন কর্মরত না থাকে।
* বিসিএস (ভূমি) এর বিধান করা, তবে পদন্নোতি ভূমি বিষয়ে উপরোক্ত পদে পদায়ন করার বিধান রাখা।
* যেকোন শহরের যানজট নিরসনের জন্য অধিদপ্তর কিছু বিভাগীয় শহরে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা। প্রতি বিভাগে অতিরিক্ত সচিব দ্বারা কার্য সম্পাদন এবং সপ্তাহে ১ দিন ঢাকায় এসে সচিব ও মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর সহিত সভা করা এবং ঢাকায় যে সুবিধাদি পাওয়া যায় সে সকল সুবিধা বিভাগীয় শহরে ব্যবস্থা করা, সরকারী-বেসরকারী সকল বিষয় স্থানান্তর করার বিধান করা, তাতে মানুষ ঢাকা মুখী না হয় তার বিধান রাখা।
* জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করার বিধান রাখা।
* কোনো সরকারী/বেসরকারী অফিসে কর্মচারী ইউনিয়ন থাকবে না, তার বিধান করা।
* ইতোপূর্বে ১৯৯৪ সাল হতে ১৯৯৬ পর্যন্ত শেখ হাসিনার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নাই, তার দৃষ্টিতে যে সন্ত্রাস চালিয়ে অনেক মানুষ হত্যা করেছে এবং দেশের বহু অর্থ ক্ষতি করেছে, তার জন্য মানতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের ব্যবস্থা করা। উক্ত রাষ্ট্র ধ্বংসযজ্ঞ, হত্যাযোগ্য সন্ত্রাসী কাজে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তারা বর্তমানে জীবিত নেই, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিধান করা এবং যারা জীবিত আছে তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা।
* রাজনীতি যাতে ব্যবসা না হয় তার বিধান রাখা।
* যেকোন চাকুরীতে নিয়োগের পরীক্ষা, দরখাস্ত যাচাই বাচাই করা, নিয়োগ কেন্দ্র কর্তৃক বাস্তবায়ন করা, যাতে নিয়োগে দুর্নীতি না হয়, দূর্নীতি ধরা পেলে তার ওয়ারিশগন যাতে মাথা উচু করে দাঁড়াতে না পারে সে ব্যব¯’া করার বিধান রাখা।
* পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আউটকারীদের ধরে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার বিধান করা।
* পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যের শরীরে মাফিয়া সরকারের রক্ত প্রবাহিত হয়েছে বিধায় তাদের দ্বারা রাষ্ট্রের ভালো কিছু আশা করা সম্ভব নয় কারণ তারা চাকুরীতে যোগদানের সময় বড় অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে যোগদান করেছে। সে কারণে সকলকে বাদ দিয়ে নতুন করে বাংলাদেশের যুব ও ছাত্র সমাজের মধ্য থেকে যাদের পরিবার দল নিরপেক্ষ তাদেরকে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং পিআরবি ১৯৪৩ সংশোধন করে সে মোতাবেক পরিচালিত হয় তাহার ব্যবস্থা করা।
* সকল ক্ষেত্রে বা কার্যালয়ে বা দপ্তরের বর্তমান কর্মরত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে দেশের মৌরশীক্রমে বসবাসরত দল নিরপেক্ষ পরিবারের ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে নতুন বাংলাদেশ পুর্নগঠনের ব্যবস্থা করা।
* ইতিপূর্বে মাফিয়া সরকারের আমলে চাকুরীর মৌখিক পরীক্ষায় প্রশ্ন করেছেন যে, ছাত্রলীগ করেন নাই কেন ? সে কারণে সকলকে বাদ দিয়ে নতুন করে নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
* কোন সরকারী বা আধা-সরকারী, স্বায়িত্ব শাসিত, আধা-স্বায়িত্ব শাসিত অফিসে কোন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গের ছবি টাঙ্গানো যাবে না তার বিধান রাখা।
* যারা দূনীর্তিগ্রস্থ পেশী শক্তি, অর্থপাচারীকারী, সন্ত্রাসী এবং যত প্রকার অপরাধী, দেশদ্রোহী, সমাজবিরোধী, জনস্বার্থ বিরোধী ব্যক্তিবর্গের উপজেলা, জেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌর এলাকার দর্শনীয় ¯’ানে ছবি টাঙ্গিয়ে রাখার বিধান করা।
* যারা বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর প্রতিনিধি বা দালাল তাদের চিহিৃত করে জেলহাজতে আটক রেখে শাস্তিমূলক বিধান করা এবং ভারতীয় যত টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রাখার বিধান করা।
* বাংলাদেশ গার্মেন্টস খাত সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতীয়রা ধ্বংশ করার জন্য লিপ্ত আছে। তা থেকে বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর মানুষের সচেতন হওয়া এবং কৌশলে তাহা প্রতিরোধ করার ব্যব¯’া করা।
* মাফিয়া সরকারের রাজনৈতিক দলের অধিনে তিনটি নির্বাচন করেছেন। তাহলে ১৯৯৪-১৯৯৬ ও ২০০৬ সালের রাষ্ট্রে ধ্বংশযজ্ঞ, হত্যাযজ্ঞ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে দেশের আর্থিক ক্ষতি ও মানুষ হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তৎকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের পরিবার কর্তৃক মানতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে বিচারের ব্যবস্থা করা।
* বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১৮৩ ও ৩৮৫ ধারা সংশোধন পূর্বক দন্ডবৃদ্ধি করা এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের ব্যবস্থা করা।
* সোয়ারীঘাটে সবসময় যানজট লেগে থাকে, তাহা নিরসনের জন্য নৌকার মাঝি ও জনগণের সুবিধার্থে বেরীবাঁধের বাহিরে পিলার স্থাপন করে স্থায়ী ভাবে মাল-উঠানামার জন্য পল্টনের মতো প্রায় ৪০০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রস্থ মালামাল যাতে নৌকায় উঠাতে পারে এবং নামাতে পারে তাহার ব্যবস্থা করা। তাহাতে রাস্তার যানজট লাগব হবে।
* বাংলাদেশের যেকোন থানায় মামলা হলে সেই মামলাগুলো পুলিশ দ্বারা তদন্ত না করে আলাদা ভাবে তদন্ত সংস্থা গঠন করে তাদের দ্বারা তদন্ত করানো এবং পুলিশ কাজ শুধু আসামী ধরা। তারা কোন রকম তদন্ত কার্য্য পরিচালনা করবে না। তদন্ত করবে নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা । ঐ নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থায় পুলিশ বাহিনী থেকে তদন্ত অফিসার (আই ও) নিয়োগ করা যাবে না তার বিধান করা।
* রাষ্ট্রের সকল দপ্তরে দল নিরপেক্ষ বা রাজনৈতিক মতাদর্শ ব্যতিরেকে জনবল নিয়োগ না দিলে এবং সংস্কার না করলে ৪০/৫০ বৎসর পর পর এই রকম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হবে। যার ফলে রাষ্ট্রের স¤পদ ধ্বংস ও জানমালের ক্ষতিসাধিত হবে।
* যে ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হইয়াছে তাহা যদি বৈধ হয় তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগও কেন বৈধ হবে না। কারণ নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত। বিগত ৩টি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগ রাষ্ট্রপতি দিয়েছেন। সে কারণে
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচনের জন্য যতদিন পৃথিবী ধ্বংস না হওয়া ততদিন বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান রাখা।
* যাহারা ২০১১ সালে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পক্ষে ভোট প্রদান করেছেন, তাদেরকে এবং তাদের পরবর্তী বংশগণ যাতে কোন নির্বাচন করতে না পারে তাহার বিধান রাখা।
* দেশের বেকার সমস্যা দূর করার জন্য বিভিন্ন আই,টি বিভাগ সৃষ্টি করা, প্রশিক্ষণ দেওয়া, ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে স্বনির্ভর উদ্যোক্তা তৈরী করার বিধান রাখা। দেশের জনগণ যাতে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে দক্ষ কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়া জনশক্তি গড়ে তুলে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।
* নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসাবে দল নিরপেক্ষ ১৫ বৎসরের পূর্বের লোক নিয়োগ করা।
* আইন উপদেষ্টা, আইন সচিব, প্রধান আইন কর্মকর্তা, আইনজীবী তালিকাভূক্তি কমিটির চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী সনদ পরীক্ষায় নিম্নরূপ সংস্কার করা আবশ্যক:
(১) এম.সি.কিউ পরীক্ষা নেগেটিভ নম্বরের ব্যবস্থা বাতিল করা।
(২) লিখিত খাতার উপরে ঙগজ শীট অন্তর্ভূক্তের ব্যবস্থা করা। যাতে খাতা চুরি না হয়।
(৩) লিখিত পরীক্ষার খাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শিক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন করা।
(৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের তুলনায় জজ সাহেবদের বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের অভিজ্ঞতা কম থাকার কারণে পরীক্ষার খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়ন হচ্ছে না।
(৫) অকৃতকার্য্য ছাত্রদের খাতা রিভিউ এর ব্যবস্থা করা।
(৬) লিখিত পরীক্ষায় পাসের নম্বর ৪০ করা।
(৭) একবার যারা এম.সি.কিউ পরীক্ষায় পাস করবেন তাদের আর পুনরায় কখনো এম.সি.কিউ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন হবে না বিধান রাখা।
(৮) যারা একবার লিখিত পরীক্ষায় পাস করবেন তাদের আর পুনরায় কখনো লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে হবে না বিধান রাখা।
(৯) প্রতি বছর কমপক্ষে দুইটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা। যদি সম্ভব না হয় তাহলে অনন্তপক্ষে একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
(ঊ) বার কাউন্সিলে দুর্নীতি এড়াতে যেহেতু জুডিসিয়াল প্রশ্ন করেন সেহেতু পরীক্ষার ফলাফল জুডিসিয়াল কর্তৃক প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা। নতুবা বার কাউন্সিলের দূর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা সব সময় অনিয়ম-দূর্নীতি করবেন।
(১০) বার কাউন্সিল পরীক্ষা ফি কমানোর ব্যবস্থা করা।
* বর্ণিত বিষয়ে অনেক ব্যাখ্যা আছে সময়র স্বল্পতার কারণে ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব হলো না। ব্যাখ্যাগুলো নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে কমিশনবৃন্দ প্রদান করবেন।
দল মত নিরপেক্ষ জনগণের পক্ষে-
মোঃ মোশারেফ হোসেন বিশ্বাস
{এল.এল.বি (অনার্স)}