স্টাফ রিপোর্টার।।চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগর ইউনিয়নের কাশেমগঞ্জ বাজারের ২৬টি ভিটি দখল অভিযোগের তীর খলিলুর রহমান তালুকদারের দিকে। জিন্নাগড় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে জোর পূর্বক কাশেমগঞ্জ বাজারের ২৬টি ভিটি দখলের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের তীর খলিলুর রহমানের দিকে। জিন্নাগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেন মিয়ার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে এই জমি দখল করে বলে জানি রিজিয়া বেগমের স্বামী জালাল আহমেদ । এ ঘটনায় রিজিয়া বেগম নিজ সম্পত্তি পাওয়ার জন্য বাদী হয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে একটি অভিযোগনামা দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলেন চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য- মিনহাজ উদ্দিন তালুকদারের ছেলে খলিলুর রহমান, বাগন আলী মাঝির ছেলে জয়নাল মাঝি, ইয়াকুব আলী মাঝির ছেলে সামসল হক মাঝি, সামছল হক মৃধার ছেলে ফারুক মাষ্টার সহ অজ্ঞাত আরো অনেকে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আ’লীগ সমর্থিত উপজেলা আ’লীগের প্রভাবশালী নেতা চেয়ারম্যান হোসেন মিয়া। টানা তিন তিন বার চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনকালে বহু অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার ও নিপীড়নের খবর বেড়িয়ে আসছে আ’লীগ সরকার পতনের পর থেকে। এলাকায় তার নিজস্ব ভাই ভাতিজা ও বাগিনা ক্যাডার বাহিনীর তান্ডবে সাধারণ মানুষ ছিল অসহায়। তিনি নিজে দাড়িয়ে থেকেই অভিযুক্তদেরকে দিয়ে কাশেমগঞ্জ বাজারের রিজিয়া বেগমের তফসিল সম্পত্তি । ভিতরে ২৬টি দোকান ভিটি দখল করে নেয় তারা। গত ৮ মে, ২০২৩ তারিখে জোরপূর্বক রিজিয়া বেগমের জায়গায় জোর পূর্বক পাকা করে বেশকিছু দোকান ঘর উত্তোলন করার চেষ্টা করে। রিজিয়া বাধা দিতে গেলে তখন রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় ও বসত ভিটা থেকে বের করে দেয়ার হুমকি ধামকি দেয়। এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে বা কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলবে ও গুম করার হুমকি দেয়। এতে রিজিয়া অসহায় হয়ে কারো নিকট বিচার দিতেও পারেনি। এরই প্রেক্ষিতে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রিজিয়া ন্যায়বিচারের আশায় বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সমাজের দায়িত্বশীলদের কাছে তার একটাই দাবী তার মতো যেন আর কেউ এমন অসহায় পরিস্থিতিতে না পরতে হয়।