রুবেল মিয়া জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
সাবেক মহা-পরিচালকের আত্নীয় পরিচয়ে নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, নেত্রকোনা বারহাট্টার (অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব) ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো: জহিরুল ইসলাম ও বারহাট্টা ফায়ার স্টেশনের লিডার বিপুল কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে।
মহড়া/গণসংযোগ না করেও জ্বালানি উত্তোলন, লাইসেন্স বানিজ্য, ফায়ার এক্সট্রিং গুইসার বানিজ্য, স্টেশনের পুরাতন মালামাল বিলবোর্ড গ্রিল বিক্রি বাউন্ডারির বনজ,ফলজ ও ঔষধি গাছ অপসারণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজিসহ অন্তহীন অভিযোগ ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো: জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও চাঁদাবাজির কবল থেকে রেহায় পায়নি স্টেশনে কর্মরত ষ্টাফরাও! উন্নয়ন ফান্ডের নামে প্রত্যেকে ষ্টাফের কাছ থেকে ২১০ টাকা হাড়ে চাঁদা আদায় করেন তিনি। এছাড়াও ফায়ার ফাইটারদের সাময়িক ব্যারাক বিশ্রাম করতে হলে আউট পাশ বাবদ ইন্সপেক্টরকে দিতে হয় ৫০ টাকা। সিএল ছুটি নিয়ে বাড়িতে গেলেও ঘুষ হিসেবে খাওয়াতে হয় ধই। বদলী জনিত ফেয়ারওয়েলে প্রত্যেক স্টাফদের কাছ থেকে ২০০ টাকা হাড়ে চাঁদা আদায় করেন জহিরুল ইসলাম । যার ২৫℅ ভোগ করেন নিজে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খুশি করার নামেও ষ্টাফদের কাছ থেকে মাসিক ২০০ টাকা হাড়ে চাঁদা আদায় করেন জহিরুল ইসলাম। চাঁদা না দিয়ে প্রতিবাদ করলে স্টাফদের পরিবার নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ, প্রশাসনিক বদলীসহ দেন নানা হুমকি।
জহিরুল ইসলামের এমন সীমাহীন অনিয়ম-দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিকার চেয়ে বারহাট্টা ফায়ার স্টেশনের ১২ জন ষ্টাফ প্রমাণসহ মহা-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগের পরপরই অভিযোগকারী কয়েকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয় অন্য স্টেশনে।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো: জহিরুল ইসলাম ও লিডার বিপুল কুমার ঘোষ।
তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জাহেদ কামাল, মহা-পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
ভক্সপপঃ- ডিজি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।