নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন ৩ নং ওয়ার্ডের জনমনের আতঙ্ক মাওলানা বেশধারী ইদ্রিস যেন কোনভাবেই থামছে না তার অপকর্ম থেকে। নারী কেলেংকারী, শিশু বলৎকার, জাল দলিল তৈরির মাস্টার মাইন্ড, জাল দলিলের মাধ্যমে অসহায় মানুষদের একাধিক জমি দখল ও জোর পূর্বক স্থাপনাসহ ঔই নিরীহ পরিবারদের বিরুদ্ধে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সাথে গোপনে মোট অংকের অর্থ প্রদানের মাধ্যমে নানা অপকর্মের মূলহোতা ইদ্রিস মাওলানা একাধিক নিরীহ পরিবারের জমি দখল করে আসছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীরা জানান, গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে কাশিমপুর এলাকায় জমি দখল, নারী কেলেংকারীসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যে ইদ্রিস মাওলানা মাস্টার মাইন্ড করেন নাই। এমনকি ইদ্রিস নিজে নেতৃত্ব দিয়ে কাশিমপুর এলাকায় বিশাল একটি বাহিনী তুলে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাখতেন।
সরকার সতনের পরও স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার যোগসাজসে এখনও এই ইদ্রিস মাওলানার দৌড় অনেকাংশে তেমনই ভাবে আছে বলে দাবি স্থানীয়জনগণ ও ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজনের।

এদিকে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সাথে গোপন আলোচনার মাধ্যমে জমি দখলসহ অন্যান্য অপকর্মে সহযোগিতার জন্য ইদ্রিস মাওলানা সমঝোতা করেন। যাহা দিনের আলোর ন্যায় পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় ও ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন দাবি জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই অপকর্মের মূলহোতা প্রতারক ইদ্রিস মাওলানার বিরুদ্ধে এবং অপকর্মে সহযোগিতার কারণে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম’কে আইন অনুযায়ী যথাযত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

এদিকে ৩২ জন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানির অভিযোগও পাওয়া গেছে। এই মামলায় কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরাসরি সম্পৃক্ত আছে বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের।

উল্লেখ্য,নিজেদের মালিকানা জমির দখল হারানোসহ কাশিমপুর থানায় একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা এবং এই মামলায় একাধিক সাংবাদিকদের নাম জড়িয়ে মামলা করেন ইদ্রিস মাওলানা। এতে কাশিমপুর থানার (ওসি) সাইফুল ইসলামের বক্তব্য নিতে গেলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। অথচ ভিকটিমদের মামলা না নিয়ে থানায় বসিয়ে আসামি করার অভিযোগ ওসি সাইফুল ইসলামের ও এস আই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে। সময়ের অনুসন্ধানে অভিযোগ