গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশ কনস্টেবলের আলিশান বাড়ি নির্মান নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম শরিফুল ইসলাম শরিফ। অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী নেতার সহোদর ভাই কাওরাইদ ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির শেখের দাপটে সাবেক “ডিবির প্রধান হারুনের ছত্র ছায়ায় অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে নিজ গ্রামে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করছেন বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি। উপজেলার টেংরা মধ্যেপাড়া তার পিতা শাহজাহানের নামে কিনেছেন জমিসহ বাড়ি, রয়েছেন একাধিক প্রাইভেটকার গাড়ি, অবৈধ কালো বিত্ত- টাকার পাহাড়।
এত বিশাল বিষ হলেও আলাদিনের চেরাগ পাওয়া এই পুলিশ কনস্টেবল শরীফ রয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টির আড়ালে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দাগ নং-১৪০/১৪১ খতিয়ান ৩৭১ কাওরাইদ মৌজায় পুলিশ কনস্টেবলের দৃষ্টিনন্দন এ ডুপ্লেক্স বাড়িটি। প্রথমে পাশ্ববর্তী থানা পাগলা, ভালুকা, থাকলেও
সাবেক “ডিবি” প্রধান হারুনের সুনজরে পুলিশের ঘুষের টাকায় ০৭ বছরে দুই কোটি টাকার চাকরি ডুপ্লেক্স বাড়ি!
আওয়ী নেতার দাপটে ছোট ভাইকে পুলিশের বড় ভাই কৃষকলীগ নেতা! চাকরি দেন
রয়েছে একাধিক গাড়ি বিভিন্ন জায়গায় পিতার নামে কিনেছেন জমিসহ বাড়ি!
দুদক ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এলাকাবাসীর অভিযোগ!
পরবর্তীতে নানা অনিয়মের অভিযোগে কক্সবাজার বদলি হয়েছেন এই কনস্টেবল। স্থানীয়রা বলছেন
সাধারণ পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি করে ঘুষ বানিজ্যে ছাড়া বাড়ি, গাড়ি, জমি এত কিছু করা সম্ভব নয়। এলাকাবাসীর একজন শামীম বলেন, আমাদের দুই একজন ভাই পুলিশের চাকরি করে তারাতো ঠিকমতো সংসার চালাতে হিমশিম খায়, সাধারণ একটি বাড়িই করতে পারেনা তাহলে শরীফ কিভাবে এত কিছু করল! বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত করে বের করা উচিৎ। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে শরীফ ৩০/৩৫ লাখ টাকা মূল্যের দুইটি প্রাইভেটকার গাড়ি কিনেছেন যার নম্বর ঢাকা মেট্রো গ ২৮৬৬০ গাড়িগুলো বাড়িতেই থাকতো বর্তমানে গাড়িগুলো অন্যকোথাও লুকিয়ে রেখেছেন। স্থানীয় একজন বলেন, এত অল্প সময়ে পুলিশ কনস্টেবলের বাড়ি, গাড়ি, টাকার মালিক কিভাবে হলেন, আমাদের বোধগম্য নয়। দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তের মাধ্যমে তার সকল সম্পত্তি ব্যাজেয়াপ্ত করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন মাস্টার বলেন, এই দুর্নীতিবাজ শ্রীপুরে পুলিশ কনস্টেবল শরিফুলের ঘুষখোর পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই হুমকি-ধামকি মিথ্যা মামলা
দিয়ে হয়রানি করবে বলে দাপট দেখায়, তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ কিছু বলতে পারেনা, আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম শরিফের নিকটে উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ করেছেন তার সাথে আমার বাবার দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। তারা আমাদের নিকটে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল, চাঁদার টাকার না দেওয়ায় তারা আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে এবং আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখ