লক্ষ্মীপুরের ডাঃ ফয়েজ আহমদকে গুলিকরে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল।
ঘটনাস্থলঃ লক্ষ্মীপুর জেলার পৌরসভাধীন উত্তর তেমুহনীর ভিকটিমের বাসভবন কাউসার মঞ্জিল।২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে বারটার দিকে ডাঃ ফয়েজ আহমেদ এর নিজ বাসার ছাদে নিয়ে পিটিয়ে, গুলি করে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ডাঃ ফয়েজ আহমেদ অত্যন্ত মানবিক ডাক্তার হিসেবে পরিচিত এবং লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ছিলেন। হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে তার সন্তান ডা: হাসানুল বান্না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহি উদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহাম্মদ ছিদ্দিকী, সাবেক এ.ডি.জি র্যাব মেঃ জেঃ জিয়াউল আহসান, র্যাব-১১ এর সাবেক সি.ই.ও তারেক সাইদ মোহাম্মদসহ ৪১ জনকে আসামী করা হয়েছে।
আসামীগন ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাতে আসামীগন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারী বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে র্যাব এর স্টিকার যুক্ত একটি গাড়ীতে করে ঘটনাস্থলের বাসায় এসে লোহার গেট ভেঙ্গে ফেলে এবং ভিকটিম ডাঃ ফয়েজ আহমেদকে নিজের বাসার দ্বিতীয় তলার কক্ষ থেকে ধরে নিয়ে ধাক্কাইতে ধাক্কাইতে বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়া যায়। এই সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা (আসামীগন) বাদীর বিল্ডিং ঢোকে সকল কক্ষের দরজার তালা ভেংঙ্গে তল্লাশী ও ভাংচুর চালায়।
আসামীগন বাদীর পিতা ডাঃ ফয়েজ আহমেদ ছাদে নিয়া তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিম ডাঃ ফয়েজ আহমেদ এর মাথার সম্মুখ ভাগ ও নাকে মুখে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি পিটাইয়া গুরুতর জখম করে।
উধতন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশে আসামী তারেক সাইদ মোহাম্মদ তাহার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়া ভিকটিম ডাঃ ফয়েজ আহমেদ এর ডান হাঁটুর উপরে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে, তাতে ওই স্থানে গভীর ক্ষত হয়ে ব্যাপক রক্তপাত হয়। এই সময় আসামীগন গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ভিকটিম ডাঃ ফয়েজ আহমেদকে তৃতীয় তলার ছাদের ওপর থেকে উপুড় করিয়া (অর্থাৎ মাথা নিচের দিকে দিয়া) বিল্ডিং এর সামনের অংশের নিচে ফেলে দেয়। এই সময় ভিকটিম ডাঃ ফয়েজ আহমেদ এর ছোট ছেলে বেলাল আহমেদ বাসার ছাদের কার্নিশে লুকানো অবস্থায় এসব ঘটনা দেখতে পান।