• রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজিতে বাধা দেয়ায় পাথরঘাটা ও বরগুনায় ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার মামলা, সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ গাজীপুরের কাশিমপুরের নায়েবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পুলিশ টাউন এলাকায় চলছে ছিনতাই দেশকে অশান্ত করার ছক তৈরী করেছে আ.লীগ: চরমোনাই পীর।। পুলিশ টাউন এলাকায় চলছে ছিনতাই পুলিশ কনস্টেবল মান্নার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, একাধিক বিয়ে ও সম্পত্তি আত্মসাৎ গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতা, অপহরণ ও প্রশাসনের নীরবতা চরফ্যাশনে আহাম্মদপুর ইউনিয়নে পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত -৬।। চরফ্যাসনে প্রবাসীর জমি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ প্রধান উপদেষ্টা সহ ২৩ দপ্তরে সুবিচার চেয়ে আবেদন।। ভোলার চরফ্যাশনে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে গিয়ে বাড়িতে ফিরেনি ১৩ বছরের ইয়ামিন।।

চরফ্যাসনে প্রবাসীর জমি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ প্রধান উপদেষ্টা সহ ২৩ দপ্তরে সুবিচার চেয়ে আবেদন।।

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট / ২৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
Update : রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলাধীন দক্ষিণ চর শিবা ৫ নং ওয়ার্ডস্থ চাঁন শরিফ মোল্লার পূত্র মোঃ ইয়াছিন মোল্লা একজন প্রবাসী। তার খরিদকৃত সম্পদে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের চোখ পড়লে ভুয়া দলিল সৃজন করে জমি দখলের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ইয়াছিন মোল্লা।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ২৩ দপ্তরে অনুলিপি সহ একটি সুবিচারের আবেদন করেন ইয়াছিন মোল্লা। বিবাদীরা হলেন- একই বাড়ীর আবুল বাশার, পিতা- মৃত মুজাহার ভুইয়া, আবদুর রাজ্জাক ভুইয়া, পিতা- ঐ, মোঃ শফিউল্যাহ (ফিটার), পিতা- মৃত আজাহার ভুইয়া। দরখাস্ত ও আবেদন সূত্রে জানা যায়, বাদী দীর্ঘ ৭/৮বৎসর পূর্বে বর্ণিত জমি (মৌজাঃ শিবার চর, জে.এল নং ৭৮, এস,এ খতিয়ান নং ২৬, হাং ডিপি নং ১৪৫৮/১১৯৫, মোট জমি খরিদসূত্রে ৭.২৭শতাংশ। জরিপে রেকর্ড ৬.৮৫ বিরোধীয় ভূমি ৩.২০ শতাংশ) খরিদ করে নাল জমি চাষাবাদ ও বাড়ী-ঘর, পুকুর-পুসকুনি সৃজন করে স্বপরিবারে বসবাস করছেন।
প্রথম দু’জন বিবাদী বাড়ীর জমায় তাদের প্রাপ্যের বেশি জমি ভোগ করে এবং 3নং বিবাদী মূল মালিক। উক্ত জমি বিক্রি করে ইয়াছিন মোল্লাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে গেলে হঠাৎ তার ওয়ারিশদের থেকে ভুয়া দলিল করে তার নিকট হইতে জমি দাবী করে। স্থানীয়ভাবে ইয়াছিন মোল্লা বহুবার সালিশ বিচার করার চেষ্টা করেন এবং বহুবার সালিশীতে তার পক্ষে সালিশগণ রায় প্রদান করলেও বিবাদীগণকে বুঝানো যায়নি। তারা কোনভাবেই আইন মানতে রাজি নয়। ইয়াছিন মোল্লার পূর্ব মালিক এস,এ এবং হাল ডিয়ারা জরিপে রেকর্ড করিয়ে দলিল দিয়েছেন। পরে হিসাব নিকাশ না দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সহায়তায় বিভিন্ন মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দিয়া হয়রানী করে তার আর্থিক ক্ষতিসাধন করার জন্য পাওয়ার টিলার ঠিক করলে চেয়ারম্যান সাহেব তার বাড়িতে গিয়ে ইয়াছিন মোল্লার সকল জমির চাষাবাদ বন্ধ করে দেন। বিষয়টি তার সাথে আলোচনা করলে ইয়াছিন মোল্লার সাথে অশালীন আচরণ করে। বিবাদীগণ তার খরিদা জমি ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে ইয়াছিন মোল্লার নিকট থেকে ১১ শতাংশ জমি দাবী করেন। চেয়ারম্যান সাহেব তাদেরকে জমির দলিল দেওয়ার জন্য ইয়াছিন মোল্লাকে উল্টো হুমকি প্রদান করেন। তার খরিদা জমি কেন কি কারণে দলিল দিতে হবে তা ইয়াছিন মোল্লার বোধগম্য নয়।
উল্লেখ্য, চরফ্যাসন আইনজীবি সমিতি গত ২৭/০৯/২০২০ইং সনে একটি আইনগত মতামত প্রদান করেন। যার কিছু অংশ উল্লেখ্য করা হলো: “রেজিস্ট্রিকৃত ৪০৬নং দলিলের বেন্দাবস্তী গ্রহীতা দিলাল হোসেনকে রহম আলী গং ১)২ বৎসর মেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদানের পর রহম আলী গংদের আর কোন স্বত্ব থাকে না। কারণ ১২ বৎসর অতিবাহিত হয় নাই। কোন শর্ত ও ভংগ হয় নাই। ঐ একই তারিখের রেজিঃ কৃত ৪০৭নং রেজিঃ বন্ধকী রেহানের মাধ্যমে গ্রহীতাদের কোন স্বত্ব, স্বার্থ উদ্ভব হয় নাই। কারণ দিলাল হোসেন ভুইয়াকে বন্দোবস্ত দেওয়ার পর ৪০৭ নং দলিলের দাতাদের আর কোন স্বত্ব নাই। আমাদের মতে উক্ত ৪০৭নং দলিলটি একটি প্রতারণামূলক দলিল। দ্বিতীয়তঃ জমির মালিক দিলাল হোসেন ভুইয়া তার জীবদ্দশায় তার অর্থে এবং স্বার্থে রেহানী বন্দোবস্ত নিয়া তার সম্পত্তি ২ছেলেকে তিন ভাগের দুই অংশ, তার জীবদ্দশায় মৃত পূত্রের ছেলে ৩ নাতিকে তিন ভাগের এক ভাগ রেকর্ড করাইয়া দেন। কারণ 3 নাতির পিতা অর্থাৎ আহাম্মদ আলী ভুইয়া পিতার পূর্বের মৃত্যুতে আইনগত নাতিগণ সম্পত্তি পাওনা না হওয়ায় দাদা নাতিদেরকে তিন ভাগের এক ভাগ রেকর্ড করাইয়া দেন। যাতে নাতিগণ বঞ্চিত না হয়। উক্ত রেকর্ড মূলে তথা রেকর্ড স্বীকার করে নাতিগণ ভোগ দখল করেন ও বেচা কেনা করেন। মামলা সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন। দীর্ঘ ৭০/৮০ বৎসর পর অত্র সম্পত্তিতে দিলাল হোসেনের ৩ নাতির ওয়ারিশগণের দাবী অবৈধ, বেআইনী, বেধারা, ভিত্তিহীন তামাদি মর্মে আমাদের মতামত এবং ইহাই আইনের বিধান।” মতামত প্রদানকারীগণ: (১) মোঃ তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র এডভোকেট, জজকোর্ট, চরফ্যাসন, ভোলা, (২) আলহাজ্ব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞ সরকারি কৌসুলি, চরফ্যাসন, ভোলা।
পরবর্তীতে ইয়াছিন মোল্লা চেয়ারম্যান সাহেবের অফিসে বসে উভয়পক্ষ সালিশী মেনে নিয়ে রোয়েদাদনামা প্রস্তুত করে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে সালিশগণ দেখতে পায় যে, বিবাদীপক্ষ শুধুমাত্র বাদীপক্ষের খরিদা জমি ছাড়া অন্য কোন জমি দাবী করেন না। এমতাবস্থায়, সালিশগণ আদালত ও আইনগত মতামত ধারা বিষয়টি অবগত হইয়া বাদীপক্ষ রেকর্ডীয় মালিকদের থেকে খরিদা জমি যাহার নামজারী জমাখারিজ খতিয়ান নং ১০৪৬ এবং হাল জরিপের ডিপি খতিয়ান নং ১১৯৫, ১৪৫৮, প্রাপ্ত জমি ২ য় পক্ষের দাবী করিয়া অন্যায় ও অবৈধ ভাবে হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ করার আইনগত কোন অধিকার নাই। বিধায় সকল শালিশগণ একমত হইয়া 1ম পক্ষ ভবিষ্যতে যাহাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করিতে পারে একটি রোয়েদাদ নামা সম্পন্ন করা হয়।
এতকিছুর পরও অভিযোগকারীরা ইয়াছিন মোল্লাকে অসহায় পেয়ে তাদের প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের লক্ষ্যে সদাব্যস্ত। বর্তমানে ইয়াছিন মোল্লা নিরুপায় হয়ে সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে সুবিচারের আশায়। তিনি সমাজের সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :
জাতীয় আরো নিউজ