• শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনামঃ
কালিয়াকৈর ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম (বাবু) ভাই শুধু ছাত্রনেতায় নয়, অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য এক মানবতার ফেরিওয়ালা মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগেল নোটি কাপাসিয়া থানা পুলিশ এসআই আমিনুল হকের আতঙ্কে সিঙ্গাপুর প্রবাসী পরিবার, পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া সাথে দুই পুত্র বধূ: শুভেচ্ছা জানাতে জনাব হুমায়ুন কবির খানের নেতৃত্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মী কালিয়াকৈর কলেজ শাখার ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কর্মী সমাবেশ ২০২৫ অনুষ্ঠিত ভূমি অফিসে ৮ বছর ধরে ‘ভুয়া পরিচয়ে’ সরকারি চাকরির অভিযোগ দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা, ৮১ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ অবলোপন মেট্রোরেল-বিদ্যুৎ-সড়ক-রেলে সেবা বিঘ্নিত হলে দুঃখপ্রকাশ করা বাধ্যতামূলক ভারত ও পাকিস্তান ব্যয়বহুল যুদ্ধের সামর্থ্য রাখে না ডিউটি সিডিউল ভুল করার কারণে প্রত্যাহার হলেন কেন্দ্রসচিব হল সুপার ও কক্ষ পর্যবেক্ষক

পুলিশ কনস্টেবল মান্নার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, একাধিক বিয়ে ও সম্পত্তি আত্মসাৎ

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট / ১০৩ ৫৮০০০.০ বার পাঠক
Update : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি
একাধিক বিয়ে, প্রতারণা ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মোঃ মান্না ওরফে লতিফ আলীর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের মতে, তিনি বিভিন্ন নারীর সাথে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ে করেন, এরপর কিছুদিন সংসার করে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি স্ত্রীদের অস্বীকার করে নতুন সম্পর্কে জড়ান।
একাধিক বিয়ে ও প্রতারণা
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মান্নার প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি একাধিক বিয়ে করেন এবং প্রতিবার কাবিননামায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মৎ রাশিদা বেগমের অভিযোগ, তিনি তাকে বিয়ে করার পর দীর্ঘ সময় একত্রে সংসার করেছেন, কিন্তু পরবর্তীতে অস্বীকার করেন। রাজবাড়ী জেলায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে রাশিদা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে মান্নার বেতনের অর্ধেক কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে রাশিদার দাবি, তিনি মান্নার বৈধ স্ত্রী এবং তার সাথে সারাজীবন সংসার করতে চান। কিন্তু বর্তমানে মান্না তাকে ফেলে রেখে অস্বীকার করছেন।

সম্পত্তি আত্মসাৎ ও দুর্নীতি
রাশিদা আরও অভিযোগ করেন, তার বাবার পৈতৃক ১৭ শতাংশ জমি মান্না কৌশলে নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। এরপর থেকেই তিনি রাশিদার সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

এছাড়া, গাজীপুরে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তিনি পুলিশের ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই গাড়ি থেকে বড় অঙ্কের চাঁদা নেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। সেই সময়ের গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের ছত্রছায়ায় থেকে তিনি এসব কর্মকাণ্ড চালাতেন বলে অভিযোগ করেন রাশিদা।
পুলিশ কনস্টেবল মান্নার বিপি নং ৮০০০০৫১২৯৮।

পরিবারের ভূমিকা
অভিযোগকারীদের মতে, মান্নার মা আয়েশা সিদ্দিকা এবং ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন, সাঈদ তাকে এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেন। তারা প্রতিবার নতুন স্ত্রীদের সাথে যোগাযোগ করে পারিবারিকভাবে মিথ্যার আশ্রয় নেন এবং আর্থিক সুবিধা আদায় করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্তের বক্তব্য
এ বিষয়ে মান্নার সঙ্গে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রাশিদা।

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
ভুক্তভোগীরা এখন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছেন, যেন পুলিশ কনস্টেবল মান্নার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হলে ভবিষ্যতে এমন প্রতারণার হাত থেকে অনেক নারী মুক্ত হতে পারেন।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী রাশিদা বাদী হয়ে ইতিমধ্যে যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন গাজীপুর দায়রা জজ আদালতে। কিন্তু ভোক্তভোগি রাশিদা নিরীহ হওয়ায় কোন সুফল পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :
জাতীয় আরো খবর.....